সিরিজ সারাংশঃ
বারবারোসলার : ভূমধ্যসাগরের তরবারি –
টিভি সিরিজটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিখ্যাত নৌসেনাপতি খাইরুদ্দিন বারবারোসা ও তার ভাইদের জীবনকাহিনীর উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিয়ালের আরতুগ্রুল চরিত্রের অভিনেতা এনজিন আলতান দোজায়তান এই সিরিজে খাইরুদ্দিন পাশার বড়ভাই, ওরুজ রেইসের চরিত্রে অভিনয় করেন। প্রতি শুক্রবার সকালে নতুন এপিসোড বাংলা সাবটাইটেল সহ দেখতে ইসলামি মিডিয়ার ওয়েবসাইট (সাব মিডিয়ার) সাথেই থাকুন।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটঃ
খিজিরের ভাইরা সমুদ্র বিষয়ক বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। তার ভাই অরুজ, ছোটভাই ইলিয়াসের সাথে সমুদ্রে বাণিজ্য পরিচালনা করতেন। পরবর্তীতে নিজের জন্য একটি জাহাজ যোগাড় করার পর খিজিরও সমুদ্রে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তার ভাইরা প্রথমদিকে নাবিক হিসেবে কাজ শুরু করলেও, পরবর্তীকালে শত্রু-জাহাজ আক্রমণ ও লুণ্ঠনের অধিকারপ্রাপ্ত বেসরকারী জাহাজ নিয়ে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে কাজ শুরু করেন। তারা নাইট সেন্ট জনের কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত জাহাজ বহর প্রতিহত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।সেন্ট জন রোডিস দ্বীপপুঞ্জে তার বেস ক্যাম্প স্থাপন করেছিলেন (১৫২২-এর আগ পর্যন্ত)। অরুজ ও ইলিয়াস লেভেন্ট আনাতোলিয়া, সিরিয়া এবং মিসরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। খিজির ভূমধ্যসাগরে কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তার বেস ক্যাম্প ছিল, থিসালোনিকিতে। সবার বড় ভাই ইসহাক মিদিল্লীতে অবস্থান করে পরিবারের অর্থনৈতিক দিক দেখাশোনা করতেন।ইতিহাস বারবারোস খিজির ও উরুজের সাহসীকতা এবং প্রভাব দেখে উসমানীয় সুলতান সেলিম (ইয়াভুজ) তাদেরকে উসমানি নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন। পরে সুলতান সুলেমান (কানুনি) বারবারোস খিজিরকে উসমানি নৌবাহিনীর প্রধান ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি দেন। ইতিহাসে ইনিই বারবারোস খাইরুদ্দিন পাশা নামে পরিচিত।
ইলিয়াসের মৃত্যু, অরুজের বন্দিদশা ও যুদ্ধঃ
অরুজ ছিল সফল একজন সমুদ্র অভিযাত্রিক। তিনি তার প্রারম্ভিক কর্মজীবনে স্প্যানিশ, ফরাসী, ইতালীয়, গ্রীক ও আরবী ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। লিবিয়িায় ত্রিপলি থেকে বাণিজ্য অভিযান শেষে, ফেরার পথে অরুজের জাহাজ নাইট সেন্ট জন-এর সৈন্যদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়। যুদ্ধে ইলিয়াস নিহত হন ও অরুজ মারাত্বকভাবে আহত হন। তাদের পিতার জাহাজটি শত্রুরা নিয়ে নেয় এবং অরুজ বোদরামে নাইটের দুর্গে প্রায় তিন বছর বন্দী থাকেন। ভাইয়ের অবস্থান জানার পর, খিজির আর বসে থাকেননি, বোদরামে এসে তার ভাইকে পালাতে সহয়তা করেন।
অরুজের অধীনে খিজিরের কর্মজীবনঃ
১৫০৩ সালে অরুজ তিনটি জাহজ সংগহ করতে সক্ষম হন এবং পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে তার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেরবা দ্বীপে তার নতুন বেস ক্যাম্প স্থাপন করেন। খিজর জেরবায় অরুজের সাথে যোগ দেন। ১৫০৪ সালে এই ভ্রাতৃদ্বয় তিউনিশিয়ার বেনি হাফ রাজবংশের সুলতান আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ হামিসের সাথে যোগাযোগ করেন এবং কৌশলগতভাবে গোলিতি বন্দরকে তাদের অভিযানের জন্য ব্যবহারের অনুমতি প্রার্থনা করেন।
তাদের আবেদন গৃহীত হয় এই শর্তে যে, তাদের লাভের এক-তৃতীয়াংশ সুলতানকে দিতে হবে। পরবর্তীতে লিপারীর কাছ থেকে তারা একটি সিসিলিয় যুদ্ধ জাহাজ আটক করে যার মধ্যে ৩৮০ জন স্পেনীয় সৈন্য এবং ৬০ জন স্পেনীয় নাইট ছিলেন যারা স্পেন থেকে নেপলস-এর দিকে যাচ্ছিলেন। ১৫০৫ সালে তারা ক্যালাব্রিয়া উপকূলে অভিযান পরিচালনা করেন।
এতে তাদের খ্যাতি বৃদ্ধি পায় এবং তাদের সাথে বিখ্যাত কিছু মুসলিম জলদস্যু জাহাজ যোগ দেয়। ১৫০৮ সালে তারা লিগোরিয়া উপকূলে অভিযান চালান, বিশেষ করে দিয়ানো মারিয়ানা। বারবারোস ভাইদের জীবনগল্প নিয়ে বারবারোসলার সিরিজটি রচিত হয়েছে।
সিরিজটি আপনারা উপভোগ করুন এবং আমরা আরো সিরিজ আপনাদের উপহার দিব।
সবাই বেশি বেশি করে শেয়ার করেন এবং সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। এবং সামর্থ্য থাকলে ডোনেট করতে পারেনঃ- বিকাশ ও নগদঃ- 01880473953 (পার্সোনাল)
Good
Your writing is clear, concise, and informative. I always learn something new from your posts.
Every time I visit this site, I find something valuable.