সুলতান ২য় মেহমেদ ছিলেন ইতিহাসের বিখ্যাত সম্রাট।
১৪৩২ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।১৪৪৪ সালে তিনি প্রথম সিংহাসনে আরোহন করেন।১৪৪৬ সালে তিনি আবার তা ত্যাগ করেন।১৪৫১ সালে তার পিতা সুলতান ২য় মুরাদের মৃত্যুর পর তিনি আবারও সিংহাসনে আরোহণ করেন।
সিংহাসনে আরোহন করেই তিনি সাম্রাজ্যের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠনে নিজের তহবিল থেকে ব্যয় করেন।তার প্রথম উদ্দেশ্য ছিল কন্সেন্টান্টিনোপোল জয় করা।১৪৫৩ সালের ২৯ এপ্রিলে তিনি ৮০,০০০ সৈন্য,৩১ টি গ্যালি (ছোট যুদ্ধ জাহাজ) এবং ৭৫ টি বড় নৌকা নিয়ে অভিযানে রওনা হন। তিনি স্থলভাগে জেনেচারিদের নেতৃত্ব দিয়ে সৈন্যদের আক্রমণ করতে আদেশ দেন।প্রায় ৭ সপ্তাহ সৈন্যদের কামানের আক্রমনে প্রাচীরে ফাটল ধরে। তবে জলভাগের আক্রমনে বায়েজেন্টাইন রণতরীগুলো অটোমান গ্যালিগুলোকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।স্থলভাগে আক্রমণ দীর্ঘসময় নেওয়ায় সুলতান বুঝলেন যে শুধু স্থলভাগের আক্রমণ দিয়ে এ শহর জয় করা সম্ভব না।তাছাড়া জলভাগে বসফোরাসে বায়েজেন্টাইনরা গোলডেন হর্ড এর বিস্তৃত এলাকায় লোহার শিকল দিয়ে বসফোরাসের প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে রাখে।তাছাড়া অটোমানদের গ্যালিগুলো বায়েজেন্টাইনদের ২৬ টি যুদ্ধ জাহাজের তুলনায় বেশ দুর্বল ছিল। তাই সুলতান চিন্তা করতে থাকেন কিভাবে এ রণতরীগুলোকে পরাস্ত করা যায়।তারপর এক অভিনব পরিকল্পনা করেন তিনি।
rise of empires: ottoman episode 6 bangla subtittle
অটোমান গ্যালি ও বড় নৌকাগুলোর নিচে চাকা লাগানো হয় এবং উচু পাহাড় থেকে গোল্ডেন হর্ড পর্যন্ত তেল মিশ্রিত তক্তার সিড়ি তৈরি করা হয়। চাকার সহায়তায় গ্যালি ও নৌকাগুলো এ সিড়ি দিয়ে সহজেই গোল্ডেন হর্ড এলাকায় প্রবেশ করে।আবার গোল্ডেন হর্ডের ওপর কিছু ভাসমান সেতু নির্মাণ করে সেখানে কামান স্থাপন করা হয়।অতপর গ্যালিগুলোর অতর্কিত আক্রমনে বায়েজেন্টাইন রণতরীগুলো পরাস্ত হয়ে যায়।তাছাড়া কামানগুলোও ব্যাপক আক্রমণ করায় অটোমান সৈন্যরা নৌকায় করে বসফোরাস ও মর্মর সাগরের এলাকা নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলে।বায়েজেন্টাইন রণতরীগুলো একের পর একে শেষ হতে থেকে বিলীন হয়ে যায়।২৮ মে রাতে সুলতান মেহমেদ সৈন্যদের নিয়ে বিশেষ দোয়া করে।২৯ মে সকালে ফজর পড়ে সুলতান তার সৈন্যদের নিয়ে জলভাগ অতিক্রম করে কন্সটান্টিনোপোলের প্রাচীরের দারপ্রান্তে পৌঁছে যায়।অতপর তুমুল আক্রমণ চলতে থাকে উভয় পক্ষ থেকে।সুলতানের আনা কামানগুলোও আক্রমণ চালাতে থাকে।
উসমানীয় সাম্রাজ্যের উত্থান ভলিউম ০৬ বাংলা সাবটাইটেল।
১০,০০০ সৈন্য নিয়েও বায়েজেন্টাইনরা ভাল প্রতিরোধ গড়তে পারলেও এক একটি ফটক কামানের আক্রমনে ভেঙগে পড়ায় অটোমান সৈন্যরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।ফলে তারা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তাদের সেনাপতি আহত হয়ে পিছু হটে।এমন সময় উলুবাতলি হাসান নামের এক সৈনিক একটি ঢাল ও অটোমান পতাকা নিয়ে প্রাচীরের উপর কোনোমতে উঠে অটোমান পতাকা স্থাপন করেন।যা দেখে সুলতান এবং সৈন্যরা আরো উজ্জীবিত হয়।কিন্তু উলুবাতলি হাসান তখনই ২৭ টি তীরবিদ্ধ হন এবং শাহাদাৎ বরণ করেন।অটোমান সৈন্যদের তীব্র আক্রমনে কয়েক ঘন্টার মধ্যে পুরো শহরের পতন ঘটে। বায়েজেন্টাইন সম্রাটও এ যুদ্ধে মারা যান।
rise of empires: ottoman episode 6 bangla subtittle
৫৩ দিনের অভিযানের পর ঐতিহাসিক এ শহরের পতন হয় এবং বায়েজেন্টাইন রোমান সাম্রাজ্যের পতন হয়।সুলতান এ শহরে প্রবেশ করে আহত,দুঃস্থ এবং ভীত জনগনকে ন্যায় শাসনের অংগীকার দেন। এ শহর পুনর্গঠনের নির্দেশ দেন। ১৪৭৮ সালে এ শহর পুনরায় প্রানবন্ত হয়ে উঠে এবং জনবসতি বৃদ্ধি পায়
server 01
server 02
server 03
সিরিজটি আপনারা উপভোগ করুন, আমরা আপনাদের আরো সিরিজ উপহার দিবো। ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন, এবং আমাদের পেইজ ফলো করতে পারেন এবং আমাদের টেলিগরাম চ্যানে
I appreciate you sharing this blog post. Thanks Again. Cool.