জালালুদ্দিন রুমি
ইতিহাস খ্যাত মুসলিম কবি
পরিচয় পর্বঃ জালালুদ্দিন রুমিকে একজন কবি দার্শনিক ধর্মবেত্তা ও আধ্যাত্মিক গুরু মনে করা হয়। ধর্মে–কর্মে তিনি ছিলেন তৎকালীন মুসলমানদের আদর্শ। তিনি সর্বাধিক পরিচিত মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি (রহ.) নামে। ১৩ শতকের বিখ্যাত কবি ছিলেন রুমি। তাঁর লেখা “মসনবী” বহুল পঠিত বই। তাঁর জন্ম ও জীবন নিয়ে মত ভিন্নতা রয়পছে। তিনি ইরানি না তুর্কি তা নিয়ে বিতর্ক ও বিরোধ রয়েছে এ দুই দেশের মধ্যে। তিনি ১২০৫ সালে আফগানিস্তানের বালখে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর প্রকৃত নাম মুহাম্মদ। মাওলানা রুমি পিতৃকুল থেকে ছিলেন ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর (রা)এরআনবম বংশধর এবং মাতৃকুল থেকে ছিলেন ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলী (রা)এর বংশধর। আল্লামা রুমি ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক সাধক।তাঁর কবিতার আধ্যাত্মিকার প্রভাব প্রবল। তার “মসনবী ” কাব্যে কল্পনা, বাস্তবতা, প্রেম, আধ্যাত্মিকতা, শিক্ষা, রহস্য, রূপকথা ও উপমহাদেশসহ নানা ধরনের আয়োজন প্রায় ৮০০বছর পরেও তাঁকে অত্যুজ্জল করে রেখেছে বিশ্বসাহিত্য। সারাবিশ্বে তিনি মরমি কবি হিসেবে পরিচিত। প্রধানত তিনি ফারসি ভাষায় সাহিত্য চর্চা করলেও অনেক স্তবক তুর্কি, আরবি গ্রিক ভাষায় রচনা করেছেন। মসনবীর চেয়েও তার বড় কাজ “দেওয়ানে কবির”।এতে ৩৫ঃহাজার ফারসি দ্বিপদী, দুই হাজার ফারসি শ্লোক, ২৪ টি তুর্কি দ্বিপাদী এবং১৪ টি গ্রিক দ্বিপদী রয়েছে। আজও রুমির কবিতার নতুন নতুন অনুবাদ আসছে দুনিয়াজুড়ে। মৃত্যুর প্রায় হাজার বছর পরে আজ ও জনপ্রিয় ফারাসি ভাষার এ বিখ্যাত কবি।
I’m grateful for this well-written and informative article. Your ability to convey information clearly and engagingly is truly impressive.