হায় সুলতান ভলিউম ৬ বাংলা সাবটাইটেল।

আব্দুল কাদের জিলানী

প্রখ্যাত ইসলামি আইনজ্ঞ ও সুফি ব্যক্তিত্ব

আব্দুল কাদের জিলানী (ফার্সি: عبدالقادر گیلانی‎‎, আরবি: عبدالقادر الجيلاني‎, প্রতিবর্ণী. ʿAbd al-Qādir al-Jīlānī‎) হলেন একজন সুন্নি মুসলিম ধর্মপ্রচারক, তপস্বী, মরমী, আইনজ্ঞ এবং হাম্বলী মাযহাবের ধর্মতত্ত্ববিদ। তিনি ইসলাম ধর্মে অন্যতম প্রধান আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ইসলামের অন্যতম প্রচারক হিসাবে সুবিদিত। সূফীরা তাকে ‘বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী’ নামে ব্যক্ত করেন। আধ্যাত্মিকতায় উচ্চমার্গের জন্য বড়পীর, ইরাকের অন্তর্গত ‘জিলান’ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করায় জিলানী, সম্মানিত হিসাবে আবু মোহাম্মদ মুহিউদ্দীন প্রভৃতি উপাধি ও নামেও তাকে সম্বোধন করা হয়।[৭]

বড়পীর, গাউসুল আজম

আব্দুল কাদের জিলানী

উপাধিশাইখুল ইসলাম, গাউসুল আজম, সুলতানুল আউলিয়াব্যক্তিগত তথ্যজন্ম২৩ মার্চ ১০৭৮

(১ রমজান, ৪৭০ হিজরি)

জিলান, তাবারিস্তান, পারস্য

মৃত্যু২১ ফেব্রুয়ারি ১১৬৬

(১১ রবিউস সানি ৫৬১ হিজরী)

(বয়স ৮৭)

বাগদাদ, আব্বাসীয় খিলাফত

সমাধিস্থলবাগদাদ, ইরাকধর্মইসলামসন্তানআবদুল রাজ্জাক জিলানীযুগইসলামি স্বর্ণযুগঅঞ্চলবাগদাদআখ্যাসুন্নিব্যবহারশাস্ত্রহাম্বলি[১][২]প্রধান আগ্রহফিকহ, সুফিবাদতরিকাকাদেরিয়া (প্রতিষ্ঠাতা)মুসলিম নেতা

যার দ্বারা প্রভাবিত

আবু সাঈদ মুবারক মাখযুমী

যাদের প্রভাবিত করেন

আবদুল রাজ্জাক জিলানী, মইনুদ্দিন চিশতী,[৩] শিহাব আল-দিন ‘উমর আল-সোহরাওয়ার্দি,[৩] ছৈয়দ মীর জান,[৪] আন-নববী, সালাহ আল-দিন আল-আইয়ূবি,[৩] মাদার আহমেদ শিরওয়াক,[৫] উওয়েজ আল-বারাউই, আবাদির উমর আর-রিদা, আল-জাইলাই[৬]

সম্মানসূচক মুহিউদ্দিন অনেক সুফিদের কাছে “ধর্মের পুনরুজ্জীবক” হিসাবে তার মর্যাদা নির্দেশ করে।[৮] গিলাআরবি আল-জিলানী) তার জন্মস্থান, গিলানকে বোঝায়। [৯][১০] , গিলাবাগদাদীর উপাধিও বহন করেছিলেন, বাগদাদে তার বাসস্থান এবং দাফনের কথা উল্লেখ করে।

জন্ম

আব্দুল কাদের হিজরি ৪৭০ সনের রমজান মাসের ১ তারিখে বাগদাদ নগরের জিলান শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবু সালেহ মুছা জঙ্গী এবং মাতার নাম সাইয়েদা উম্মুল খায়ের ফাতেমা। তার পিতা ছিলেন ইমাম হাসান ইবনে আলীর বংশধর ও মাতা ছিলেন ইমাম হোসাইন ইবনে আলীর বংশধর।

শিক্ষা

জিলানী তার জন্মের প্রদেশ গিলানে তার প্রাথমিক জীবন কাটিয়েছেন। ১০৯৫ সালে আঠারো বছর বয়সে তিনি বাগদাদে যান। সেখানে তিনি আবু সাঈদ মুবারক মাখযুমী এবং ইবনে আকিলের অধীনে হাম্বলী মাযহাব অধ্যয়ন করেন।তিনি আবু মুহাম্মদ জাফর আল-সাররাজের কাছে হাদিস অধ্যয়ন করেন। শিক্ষা শেষ করে জিলানী বাগদাদ ত্যাগ করেন। তিনি ইরাকের মরুভূমিতে পঁচিশ বছর তপস্যা করেন।

ধর্ম প্রচার

শিক্ষা-দীক্ষায় পূর্ণতা অর্জনের পর তিনি নিজেকে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজে নিয়োজিত করেন। বিভিন্ন মাহফিলে তিনি ইসলামের আদর্শ যুক্তিপূর্ণ ভাষায় বর্ণনা করতেন। তার মহফিলে শুধু মুসলমান নয়, অনেক অমুসলিমও অংশগ্রহণ করতো। তার বক্তব্য শুনে অনেক অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

সুফিবাদের কাদেরিয়া তরিকা (সুফি তরিকা)

তিনি কাদেরিয়া তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন, এর অনেকগুলি শাখার সাথে বিস্তৃত, বিশ্বের বিভিন্ন অংশে এবং এছাড়াও এটি যুক্তরাজ্য, আফ্রিকা, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, বলকান, রাশিয়া, ফিলিস্তিন, চীন,এবং পূর্ব ও পশ্চিম আফ্রিকায় রয়েছে।

বই

তিনি কাব্য, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ের পণ্ডিত ছিলেন। তার রচিত বহু গ্রন্থ রয়েছে। এসব গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

কিতাব সিরর আল-আসরার ওয়া মাযহার আল-আনওয়ার(রহস্যের গোপন বই এবং আলোর প্রকাশ)

ফুতুহ আল গাইব (অদৃশ্যের রহস্য)

গুনিয়াতুত তালেবীন (অন্বেষকদের ধন) غنیہ الطالیبین

ক্বসীদায়ে গাউসিয়া

আল-ফুয়ুদাত আল-রব্বানিয়া (প্রভুর অনুগ্রহের প্রকাশ)

পনেরোটি চিঠি: খামসাতা ‘আশারা মাকতুবান

Server 1

Server02

Server 03