বারবারোসা । ভলিওমঃ ১৯ বাংলা সাবটাইটেল

সিরিজ সারাংশঃ

সিরিজটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিখ্যাত নৌসেনাপতি খিজির খাইরুদ্দিন বারবারোসা ও তার বিখ্যাত ভাইদের জীবনকাহিনীর উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। খিজিরের ভাইরা সমুদ্র বিষয়ক বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ে। তার ভাই অরুচ, ছোটভাই ইলিয়াসের সাথে সমুদ্রে বাণিজ্য পরিচালনা করতো।

পরবর্তীতে নিজেদের জন্য একটি জাহাজ কেনার পর খিজিরও সমুদ্রে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তার ভাইরা প্রথমদিকে নাবিক হিসেবে কাজ শুরু করলেও, পরবর্তীকালে শত্রু-জাহাজ আক্রমণ ও লুণ্ঠনের অধিকারপ্রাপ্ত বেসরকারী জাহাজ নিয়ে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে কাজ শুরু করেন। তারা নাইট সেন্ট জনের কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত জাহাজ বহর প্রতিহত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।

সেন্ট জন রোডিস দ্বীপপুঞ্জে তার বেস ক্যাম্প স্থাপন করেছিলেন (১৫২২-এর আগ পর্যন্ত)। অরুজ ও ইলিয়াসের নাবিক আনাতোলিয়া, সিরিয়া এবং মিসরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। খিজির ভূমধ্যসাগরে কার্যক্রম পরিচালনা করতো। তার বেস ক্যাম্প ছিল, থিসালোনিকিতে। সবার বড় ভাই ইসহাক মিডিল্লিতে অবস্থান করে পরিবারের অর্থনৈতিক দিক দেখাশোনা করতেন।

খিজির খাইরুদ্দিন বারবারোসা ও অরুচের সাহসীকতা এবং প্রভাব দেখে সে সময়কার উসমানীয় সুলতান ইয়াভুজ সুলতান সেলিম তাদেরকে উসমানি নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন। পরে কানুনি সুলতান সুলেমান খিজির খাইরুদ্দিন বারবারোসাকে উসমানি নৌবাহিনীর প্রধান ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি দেন। ইতিহাসে ইনিই খাইরুদ্দিন বারবারোস পাশা নামে পরিচিত। অরুচ ছিল সফল একজন সমুদ্র অভিযাত্রিক।

তিনি তার প্রারম্ভিক কর্মজীবনে স্প্যানিশ, ফরাসী, ইতালীয়, গ্রীক ও আরবী ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। লিবিয়িায় ত্রিপলি থেকে বাণিজ্য অভিযান শেষে, ফেরার পথে অরুজের জাহাজ নাইট সেন্ট জন-এর সৈন্যদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়। সেই যুদ্ধে ইলিয়াস মৃত্যু বরণ করে এবং অরুচ মারাত্বকভাবে আহত হন। তাদের পিতার জাহাজটি শত্রুরা নিয়ে নেয় এবং অরুচ বোদরামে নাইটের দুর্গে প্রায় তিন বছর বন্দী থাকেন। ভাইয়ের অবস্থান জানার পর, খিজির আর বসে থাকেননি, বোদরামে এসে তার ভাইকে পালাতে সাহায্য করেন।

১৫০৩ সালে অরুচ তিনটি জাহজ সংগহ করতে সক্ষম হন এবং তারা পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে তার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেরবা দ্বীপে তার নতুন বেস ক্যাম্প স্থাপন করেন। খিজর জেরবায় অরুজের সাথে যোগ দেন। ১৫০৪ সালে এই ভ্রাতৃদ্বয় তিউনিশিয়ার বেনি হাফ রাজবংশের সুলতান আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ হামিসের সাথে যোগাযোগ করেন এবং কৌশলগত ভাবে গোলিতি নৌ-বন্দরকে তাদের অভিযানের জন্য ব্যবহারের অনুমতি প্রার্থনা করেন। তাদের আবেদন গৃহীত হয় এই শর্তে যে, তাদের লাভের এক-তৃতীয়াংশ সুলতানকে দিতে হবে।

পরবর্তীতে লিপারীর কাছ থেকে তারা একটি সিসিলিয় যুদ্ধ জাহাজ আটক করে যার মধ্যে ৩৮০ জন স্পেনীয় সৈন্য এবং ৬০ জন স্পেনীয় নাইট ছিলেন যারা স্পেন থেকে নেপলস-এর দিকে যাচ্ছিলেন। ১৫০৫ সালে তারা ক্যালাব্রিয়া উপকূলে অভিযান পরিচালনা করেন। এতে তাদের খ্যাতি বৃদ্ধি পায় এবং তাদের সাথে বিখ্যাত কিছু মুসলিম জলদস্যু জাহাজ যোগ দেয়। ১৫০৮ সালে তারা লিগোরিয়া উপকূলে অভিযান চালান, বিশেষ করে দিয়ানো মারিয়ানা। বারবারোস ভাইদের জীবনগল্প নিয়ে বারবারোসলার সিরিজটি রচিত হয়েছে।

Server 2

এই সিরিজে আরো অনেক কাল্পনিক বিষয় যুক্ত করা হয়েছে সিরিজটির মাধুর্যতা বাড়াতে। আপনারা কেউ সিরিজ দেখে ইতিহাস জানার চেষ্টা করবেন না। কারন সিরিজ তৈরি করা হয় শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য। যদিও এসব সিরিজ আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় মুসলিমদের সোনালি ইতিহাসের কথা। আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় মুসলিম বীরদের কথা। তাই এসব সিরিজ আমাদের দেখা উচিত৷

সিরিজটি আপনারা উপভোগ করুন এবং আমরা আরো সিরিজ আপনাদের উপহার দিব।

সবাই বেশি বেশি করে শেয়ার করেন এবং সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। এবং সামর্থ্য থাকলে ডোনেট করতে পারেনঃ- বিকাশ ও নগদঃ- 01880473953 (পার্সোনাল)

3 thoughts to “বারবারোসা । ভলিওমঃ ১৯ বাংলা সাবটাইটেল”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *